পশ্চিমবঙ্গ সরকার দরিদ্রদের জন্য নিয়ে এলেন আরেকটি নতুন প্রকল্প. এ প্রকল্পের নাম বন্ধু প্রকল্প 2023. এই প্রকল্পের নাম বন্ধু দেওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে. যে সমস্ত দরিদ্র মানুষেরা দরিদ্রতার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করবে এই বন্ধু প্রকল্প.অর্থাৎ মানুষ যখন দিশেহারা হয়ে পড়বে তখন বন্ধুর মত পাশে থাকবে এই প্রকল্প. তাই দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু করলেন বন্ধু প্রকল্প 2023.
এই প্রকল্পের দ্বারা উপকৃত হবে প্রায় 42 লক্ষ লোক.মমতা ব্যানার্জি এর উদ্যোগে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে.প্রথম থেকেই তা যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ বাসিন্দাদের কাছে.আমরা আজকে এই বন্ধু প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব. এই প্রকল্প সম্পর্কে জানতে আপনাদেরকে আমাদের নিবন্ধটি ভালো করে পড়তে হবে.
- আমরা আজকে এই নিবন্ধের মাধ্যমে জানাবো এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কি?
- এ প্রকল্প মানুষকে কিভাবে সাহায্য করতে পারে ?
- এই প্রকল্প পেতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে ?
- এই প্রকল্প অনলাইনের মাধ্যমে আমরা কিভাবে আবেদন করতে পারবো ?
- এ প্রকল্পের আওতায় থাকতে হলে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে ?
এ প্রকল্প কিভাবে দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, কিভাবে মানুষ অন্য অভাব দূর করেছে, এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ বাসিন্দাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানতে পরবর্তী পরিচ্ছেদে চোখ রাখুন.
পশ্চিমবঙ্গ বন্ধু প্রকল্প, হাসির আলো, চই সুন্দরী স্কিম
পশ্চিমবঙ্গ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব-
বন্ধু প্রকল্প- যে সমস্ত বেশি লোকেরা কোন এজেন্সি থেকে পেনশন পান না তারা কিন্তু বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে 1000 টাকা করে পেনশন পাবেন. এই পেনশন প্রকল্পের দ্বারা চার লক্ষ তপশিলি বিভাগের মানুষেরা উপকৃত হবে. পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্পের জন্য 2500 কোটি টাকা খরচ করবে.
হাসির আলো প্রকল্প: এই প্রকল্পের মাধ্যমে 75 ইউনিট পর্যন্ত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে. এই প্রকল্পের ধারা 35 লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে. রাজ্য সরকার প্রায় 200 কোটি টাকা এ প্রকল্পের জন্য খরচা পড়বে.
চই সুন্দরী স্কিম: এর মাধ্যমে চা বাগানের শ্রমিকরা বিনামূল্যে ঘর পাবে.চই সুন্দরী স্কিনের জন্য সরকার প্রায় 500 কোটি টাকা খরচ করবে, এই স্ক্রিমের দ্বারা প্রায় 3 লক্ষ শ্রমিক উপকৃত হবে.
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খুলতে চলেছে যার জন্য 50 কোটি টাকা খরচ করবে.
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আগামী তিন বছরে 100 টি নতুন পার্ক স্থাপন করবে.পশ্চিমবঙ্গ সরকার পার্ক স্থাপনের জন্য 200 কোটি টাকা খরচ করবে.
পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী দুই বছরে কৃষি কর মুকুফ করবে. 2023 থেকে 22 পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে কোন কর আদায় করবে না.
যেকোনো প্রকল্পের আওতায় থাকতে হলে আপনাদেরকে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি জমা করতে হবে সেগুলি হল-
- আধার কার্ড
- ভোটার আইডি
- মোবাইল নাম্বার
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো
- ব্যাংক একাউন্ট
- ব্যাংকের পাস বই ইত্যাদি.
বন্ধু প্রকল্প যোগ্যতা:
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক বাসিন্দা এই প্রকল্প গুলির জন্য অ্যাপ্লিকেবিল নয়. এর জন্য সরকার বিশেষ কিছু যোগ্যতা নির্দেশ দিয়েছে এই সমস্ত প্রকল্পে যদি আপনারা আবেদনপত্র জমা করতে চান তাহলে সেই নির্দেশ আপনাদেরকে ফলো করতে হবে. অর্থাৎ এই সমস্ত যোগ্যতা আপনাদের মধ্যে থাকতে হবে.
- প্রথমত আপনাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে
- দ্বিতীয়ত, বার্ষিক আয় দুই লক্ষের কম হতে হবে
- তৃতীয়তঃ, অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে.
- চতুর্থত, মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল আইডি থাকা বাধ্যতামূলক .
বন্ধু প্রকল্প 2023 আবেদন পত্র কিভাবে জমা করবেন অনলাইনের মাধ্যমে ?
আবেদনপত্র জমা করবার জন্য আপনাদেরকে সর্বপ্রথম অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে. এরপর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন স্থানে ক্লিক করতে হবে. পরবর্তীতে আপনারা দেখতে পারবেন স্ক্রিনে একটি ফর্ম করছে সেখানে জিজ্ঞাসিত যাবতীয় তথ্য প্রদান করুন. এরপর সাবমিট অপশনে ক্লিক করে আবেদনপত্র জমা করে দিন. আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে আপনার এই পেনশন সংক্রান্ত বিষয়.
আমরা এখানে বন্ধু প্রকল্পের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করলাম. আপনারা যদি এই সমস্ত প্রকল্প সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনাদেরকে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক আমরা এখানে প্রদান করে দেবো আপনারা অতি সহজে ক্লিকের মাধ্যমে পৌঁছে যেতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় পেজে. এর পরও যদি আপনাদের কোন বিষয়ে কোনরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন.